وصف
দলিলসহ নামাযের মাসায়েল (বর্ধিত সংস্করণ)
দেশের বিভিন্ন স্থানে সফরে গিয়ে স্থানীয় আলেমগণের মুুখে একটি অভিযোগ বরাবরই শুনতে পেয়েছি। আর তা হলো কিছু কিছু লা-মাযহাবী আলেম এই বলে ফেৎনা সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছে যে,
নামাযের কিছু কিছু মাসআলায় হানাফীদের কোন হাদীস বা কোন দলিল প্রমাণ নেই। সর্বশেষ গত ১৪/১/১১ ইং তারিখে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি প্রোগ্রামে গিয়ে একই অভিযোগ শুনতে পেলাম।
নিয়ত করলাম ঢাকায় ফিরে এ বিষয়ে কলম ধরবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালার তৌফিকে নিয়ত অনুযায়ী কাজ শুরু করলাম। শিক্ষকতার ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কিছু কিছু করে লিখতে লাগলাম। প্রায় মাসখানেকের মধ্যেই লেখার কাজ সমাপ্ত হলো ।
সহজ-সরলভাবে উদ্ধৃতিসহ মূল হাদীস ও তার অনুবাদ তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ হাদীসের মানও উল্লেখ করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সনদ বা সূত্রের চুল-চেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন মনে করা
হয়নি। তাদের পদক্ষেপ দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের ইচ্ছা রইলো। প্রবাদ আছে, দোস্ত বাকী তো মোলাকাত ভী বাকী - বন্ধু থাকলে সাক্ষাতও ঘটতে থাকবে।
দুটি বিষয় লিখে দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে দুজন তরুণ মেধাবী ও উদ্যমী আলেম মাওলানা তাহমীদুল মাওলা (বেতেরের মাসআলা) ও মাওলানা শিব্বীর আহমদ (জানাযার মাসআলা)। দুজনই আমার ছাত্র
ও বর্তমানে সহকর্মী। আল্লাহ তায়ালা তাদের ইলমে আরো বরকত দান করুন।
গ্রন্থের শেষে আরো দুটি প্রবন্ধ যোগ করার প্রয়োজন অনুভব করেছি। একটি হলো, মহিলাদের নামাযের পদ্ধতি। এটি লিখেছেন, উপমাহাদেশের খ্যাতিমান হাদীস গবেষক, বাংলাদেশের গর্ব, মারকাযুদ
দাওয়া আল ইসলামিয়ার হাদীস বিভাগের প্রধান হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক দামাত বারকাতুহুম। এটি সর্বপ্রথম মাসিক আল কাওছারে প্রকাশিত হয়েছিল। অপরটি উমরী কাযা আদায় সম্পর্কে। এটি
লিখেছেন আমার স্নেহাষ্পদ মেধাবী ও উদ্যমী আলেম মাওলানা যাকারিয়া আব্দুল্লাহ, সহকারী সম্পাদক, মাসিক আলকাওছার। প্রবন্ধকারদ্বয়ের অনুমতিক্রমে ঈষৎ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রবন্ধ দুটি
এখানে পেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উত্তম জাযা দিন।
এখানে একটি কথা সকলকে স্পষ্ট বলে দিতে চাই যে, পূর্বসূরিগণ তথা সাহাবা ও তাবেয়ীগণের যুগ থেকে চলে আসা এ ধরণের বিরোধপূর্ণ মাসায়েল নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করা আমাদের
নীতিবিরুদ্ধ। উম্মত আজ হাজারো সমস্যার সম্মুখীন। কুফরী শক্তি একজোট হয়ে আজ উম্মতে মুহাম্মদীর উপর হিংস্র থাবা বিস্তার করছে। মুসলমানদের ঈমান আমল লুট করতে আজ হাজারো লুটেরা
বাহিনী নিরলস অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিৎ একতাবদ্ধ হয়ে সেসব ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করা। সুতরাং আমাদের নীরবতার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন পানি ঘোলা না করেন, সে অনুরোধ রেখেই
এই সংক্ষিপ্ত ভূমিকার ইতি টানছি।
আল্লাহ আমাদেরকে সুমতি দান করেন। আমীন।
আব্দুল মতিন
*************
লেখক (মাওলানা আব্দুল মতিন) সম্পর্কে:
দীর্ঘ দু'যুগেরও অধিক সময় হাদীসের খেদমতে নিয়োজিত মাওলানা আবদুল মতিন দা. বা. সমকালের একজন খ্যাতিমান আলেম ও হাদীস বিশারদ।
অধ্যাপনা জীবনের সূচনা হয় ১৯৮৭ সালে বরমী জামিয়া আনোয়ারিয়া মাদরাসার খেদমতের মাধ্যমে। কর্মজীবনের প্রথম বছরই তিনি বুখারী শরীফ ২য় খণ্ড, মুসলিম শরীফ ২য় খণ্ড ও
তিরমিযী শরীফ ১ম খণ্ডের দরস প্রদানের মাধ্যমে নববী চেতনাকে বিকশিত করেন।
নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে অধ্যাবধি দীর্ঘ দু'যুগেরও অধিক সময় তিনি হাদীস শরীফের খেদমতে নিরলসভাবে নিয়োজিত রয়েছেন। এ সময় তিনি ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া
রাজফুলবাড়িয়া, শেখ জনূরুদ্দীন দারুল কুরআন (চৌধুরীপাড়া মাদরাসা) ও জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগে হাদীসের উচ্চমার্গীয় কিতাবাদির পাঠদান করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার
অন্যতম স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া তেজগাওয়ে হাদীসের খেদমত ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
অধ্যাপনার বর্ণীর ও সমৃদ্ধ জীবনে তিনি বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড, মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফসহ হাদীস ও উলুমে হাদীসের উৎসগ্রন্থসমূহ জ্ঞানগভীরতার
সাথে পাঠদান করেছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অনুবাদ কার্যক্রমের অন্যতম দিকপাল হিসেবে বেশক'টি হাদীস গ্রন্থের অনুবাদ করেছেন। তম্নধ্যে বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, ফায়জুল বারী ও
ই'লাউস সুনানের নির্বাচিত অংশ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তার সৃজনশীল রচনা ও অনুবাদে সমৃদ্ধ হয়েছে ইসলামী বিশ্বকোষ ও ফতোয়া-মাসায়েলের বিভিন্ন জরুরী অধ্যায়।
আরবি ও বাংলা; উভয় ভাষায় সিদ্বহস্ত মাওলানা আবদুল মতিন রচনা করেছন অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ। 'আদ দুরারুস সামীনাহ ফী মুসতালাহিস সুন্নাহ' (আরবি); বাইবেল বিকৃতি:
তথ্য ও প্রমাণ, খৃষ্টবাদ বিকৃতি: তথ্য ও প্রমাণ, দলিলসহ নামাযের মাসায়েল ইত্যাদি গ্রন্থ তাকে এনে দিয়েছে সমকালীন গবেষক, আলেম ও বিদ্যানুরাগী পাঠকদের অকুণ্ঠ স্বীকৃতি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সফরে গিয়ে স্থানীয় আলেমগণের মুুখে একটি অভিযোগ বরাবরই শুনতে পেয়েছি। আর তা হলো কিছু কিছু লা-মাযহাবী আলেম এই বলে ফেৎনা সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছে যে,
নামাযের কিছু কিছু মাসআলায় হানাফীদের কোন হাদীস বা কোন দলিল প্রমাণ নেই। সর্বশেষ গত ১৪/১/১১ ইং তারিখে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি প্রোগ্রামে গিয়ে একই অভিযোগ শুনতে পেলাম।
নিয়ত করলাম ঢাকায় ফিরে এ বিষয়ে কলম ধরবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালার তৌফিকে নিয়ত অনুযায়ী কাজ শুরু করলাম। শিক্ষকতার ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কিছু কিছু করে লিখতে লাগলাম। প্রায় মাসখানেকের মধ্যেই লেখার কাজ সমাপ্ত হলো ।
সহজ-সরলভাবে উদ্ধৃতিসহ মূল হাদীস ও তার অনুবাদ তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ হাদীসের মানও উল্লেখ করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সনদ বা সূত্রের চুল-চেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন মনে করা
হয়নি। তাদের পদক্ষেপ দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের ইচ্ছা রইলো। প্রবাদ আছে, দোস্ত বাকী তো মোলাকাত ভী বাকী - বন্ধু থাকলে সাক্ষাতও ঘটতে থাকবে।
দুটি বিষয় লিখে দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে দুজন তরুণ মেধাবী ও উদ্যমী আলেম মাওলানা তাহমীদুল মাওলা (বেতেরের মাসআলা) ও মাওলানা শিব্বীর আহমদ (জানাযার মাসআলা)। দুজনই আমার ছাত্র
ও বর্তমানে সহকর্মী। আল্লাহ তায়ালা তাদের ইলমে আরো বরকত দান করুন।
গ্রন্থের শেষে আরো দুটি প্রবন্ধ যোগ করার প্রয়োজন অনুভব করেছি। একটি হলো, মহিলাদের নামাযের পদ্ধতি। এটি লিখেছেন, উপমাহাদেশের খ্যাতিমান হাদীস গবেষক, বাংলাদেশের গর্ব, মারকাযুদ
দাওয়া আল ইসলামিয়ার হাদীস বিভাগের প্রধান হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক দামাত বারকাতুহুম। এটি সর্বপ্রথম মাসিক আল কাওছারে প্রকাশিত হয়েছিল। অপরটি উমরী কাযা আদায় সম্পর্কে। এটি
লিখেছেন আমার স্নেহাষ্পদ মেধাবী ও উদ্যমী আলেম মাওলানা যাকারিয়া আব্দুল্লাহ, সহকারী সম্পাদক, মাসিক আলকাওছার। প্রবন্ধকারদ্বয়ের অনুমতিক্রমে ঈষৎ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রবন্ধ দুটি
এখানে পেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উত্তম জাযা দিন।
এখানে একটি কথা সকলকে স্পষ্ট বলে দিতে চাই যে, পূর্বসূরিগণ তথা সাহাবা ও তাবেয়ীগণের যুগ থেকে চলে আসা এ ধরণের বিরোধপূর্ণ মাসায়েল নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করা আমাদের
নীতিবিরুদ্ধ। উম্মত আজ হাজারো সমস্যার সম্মুখীন। কুফরী শক্তি একজোট হয়ে আজ উম্মতে মুহাম্মদীর উপর হিংস্র থাবা বিস্তার করছে। মুসলমানদের ঈমান আমল লুট করতে আজ হাজারো লুটেরা
বাহিনী নিরলস অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিৎ একতাবদ্ধ হয়ে সেসব ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করা। সুতরাং আমাদের নীরবতার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন পানি ঘোলা না করেন, সে অনুরোধ রেখেই
এই সংক্ষিপ্ত ভূমিকার ইতি টানছি।
আল্লাহ আমাদেরকে সুমতি দান করেন। আমীন।
আব্দুল মতিন
*************
লেখক (মাওলানা আব্দুল মতিন) সম্পর্কে:
দীর্ঘ দু'যুগেরও অধিক সময় হাদীসের খেদমতে নিয়োজিত মাওলানা আবদুল মতিন দা. বা. সমকালের একজন খ্যাতিমান আলেম ও হাদীস বিশারদ।
অধ্যাপনা জীবনের সূচনা হয় ১৯৮৭ সালে বরমী জামিয়া আনোয়ারিয়া মাদরাসার খেদমতের মাধ্যমে। কর্মজীবনের প্রথম বছরই তিনি বুখারী শরীফ ২য় খণ্ড, মুসলিম শরীফ ২য় খণ্ড ও
তিরমিযী শরীফ ১ম খণ্ডের দরস প্রদানের মাধ্যমে নববী চেতনাকে বিকশিত করেন।
নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে অধ্যাবধি দীর্ঘ দু'যুগেরও অধিক সময় তিনি হাদীস শরীফের খেদমতে নিরলসভাবে নিয়োজিত রয়েছেন। এ সময় তিনি ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া
রাজফুলবাড়িয়া, শেখ জনূরুদ্দীন দারুল কুরআন (চৌধুরীপাড়া মাদরাসা) ও জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগে হাদীসের উচ্চমার্গীয় কিতাবাদির পাঠদান করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার
অন্যতম স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া তেজগাওয়ে হাদীসের খেদমত ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
অধ্যাপনার বর্ণীর ও সমৃদ্ধ জীবনে তিনি বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড, মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফসহ হাদীস ও উলুমে হাদীসের উৎসগ্রন্থসমূহ জ্ঞানগভীরতার
সাথে পাঠদান করেছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অনুবাদ কার্যক্রমের অন্যতম দিকপাল হিসেবে বেশক'টি হাদীস গ্রন্থের অনুবাদ করেছেন। তম্নধ্যে বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, ফায়জুল বারী ও
ই'লাউস সুনানের নির্বাচিত অংশ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তার সৃজনশীল রচনা ও অনুবাদে সমৃদ্ধ হয়েছে ইসলামী বিশ্বকোষ ও ফতোয়া-মাসায়েলের বিভিন্ন জরুরী অধ্যায়।
আরবি ও বাংলা; উভয় ভাষায় সিদ্বহস্ত মাওলানা আবদুল মতিন রচনা করেছন অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ। 'আদ দুরারুস সামীনাহ ফী মুসতালাহিস সুন্নাহ' (আরবি); বাইবেল বিকৃতি:
তথ্য ও প্রমাণ, খৃষ্টবাদ বিকৃতি: তথ্য ও প্রমাণ, দলিলসহ নামাযের মাসায়েল ইত্যাদি গ্রন্থ তাকে এনে দিয়েছে সমকালীন গবেষক, আলেম ও বিদ্যানুরাগী পাঠকদের অকুণ্ঠ স্বীকৃতি।
إصدارات قديمة
- 03/23/2020: দলিলসহ নামাযের মাসায়েল 2.5
- Report a new version
- اسم التطبيق: দলিলসহ নামাযের মাসায়েল
- لينة الفئة: الكتب والمراجع
- كود التطبيق: com.abunayem.massailofprayerebook
- أحدث إصدار: 2.5
- الشرط المطلوب: 4.1 أو أعلى
- حجم الملف : 3.03 MB
- تحديث الوقت: 2020-03-23